বিচিত্রতা

তরুণীকে বিয়ে করলেই আড়াই কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা বাবার!

তরুণীকে বিয়ে করলেই আড়াই কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা বাবার! - West Bengal News 24

নিজের মেয়েকে একটা ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দিতে চান বাবা। তাই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে যে ছেলেকেই বিয়ে করবে, তাকে তিনি ৩ লাখ মার্কিন ডলার দিবেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। খবর দুনিয়া নিউজ।

৫৮ বছর বয়সী এই মিলিয়নারের নাম আরনন রদথং। থাইল্যান্ডের নাগরিক রদথং তার মেয়েকে বিবাহ করতে রাজী হওয়া ছেলেকে ১০ লাখ থাই বাথ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় আড়াই কোটি টাকা। তো কেমন যোগ্যতা চাই এই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য? কি যোগ্যতার কথাই বা বলছেন মেয়ের বাবা আরনন রদথং? চিন্তার কোনো কারণ নেই! রদথং বিশেষ তেমন কোনো যোগ্যতার কথা বলেননি।

তিনি বলেছেন, যে ছেলে তার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, তাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে এবং তার মেয়েকে সুখে রাখতে হবে।

৫৮ বছর বয়সী আরনন রদথং মূল্যবান দুরিয়ান ফলের একটি ফার্মের মালিক। দক্ষিণাঞ্চলীয় থাইল্যান্ডের চুমফন প্রদেশে তার এই ফলের বাগানটি অবস্থিত।

তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ের নাম কার্নসিতা। মেয়ে কার্নসিতা ব্যবসা সামলাতে বাবাকে সাহায্য করেন। কিন্তু তিনি এখন তার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার জন্য মেয়ের ভবিষ্যৎ জামাইকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : খবর পড়তে পড়তে দাঁত খুলে গেল পাঠিকার! ভিডিও ভাইরাল

রথদং তার মেয়ের ভবিষ্যত জামাইকে সুবিশাল দুরিয়ান ফলের বাগানের মালিকানাও লিখে দিবেন। তার ফলের বাগানটি থাইল্যান্ডের ওই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং এর বাজার মূল্য কয়েক মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

অবশ্য থাইল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকার ঐতিহ্যই এমন যে, বিয়ের সময় বরপক্ষ কনেপক্ষকে সাধ্যমত যৌতুক দিয়ে থাকে। রদথং বলেন, তিনি এই প্রথা ভাঙতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন,‘আমি চাই কেউ কঠোর পরিশ্রম করে আমার ব্যবসার হাল ধরুক এবং এটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাক। যে ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, আমি মনে করি না তাকে স্নাতক ডিগ্রী বা মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।’

তিনি আরো বলেন,‘আমি একটা পরিশ্রমী ছেলে চাই। আমি কেবল কঠোর পরিশ্রমী একটা ছেলেকেই পেতে চাই। এটাই সব, আর কিছু না।’

ছেলে সন্তানসহ রদথংয়ের আরো কয়েকজন সন্তান আছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, তার সকল সম্পদ কেবল কার্নসিতার ভবিষ্যত স্বামীকেই দিবেন।

রদথং আরো বলেন,‘যতো শিগগির আমি আমার মেয়ের জামাই পাবো। ততো তাড়াতাড়িই তার হাতে আমার সকল সম্পদ তুলে দিতে চাই।’

আরও পড়ুন : যে দ্বীপপুঞ্জে নেই করোনা রোগী

এতক্ষণ তো মেয়ের বাবার কথা শুনলেন। কিন্তু মেয়ে কেমন, সেটা তো বিয়ের আগে নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন। বিয়ের পাত্রী কার্নসিতা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় অনর্গল কখা বলতে পারেন। তিনি একজন কুমারী এবং তার কখনোই বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিক ছিল না। তিনি এখনও সিঙ্গেল বলে নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

এতো গেল তার কথা; কিন্তু স্বামী হিসেবে কেমন মানুষকে পেতে চান তিনি? কার্নসিতা বলছেন,‘বাবা আমার ভবিষ্যত স্বামী খোঁজার ব্যাপারে প্রকাশ্যে যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। আমার বন্ধুদের নিকট থেকে এ ব্যাপারে আমি জানতে পারি।

বাবার এই ঘোষণা আমাকে বিস্মিত করেছে। এটা সত্য যে, আমি এখনো সিঙ্গেল। যদি কাউকে বিয়ে করতেই হয়, তবে আমি এম ছেলেকেই বিয়ে করতে চাইবো- যে হবে খুবই পরিশ্রমী, একজন ভালো মানুষ এবং সর্বোপরি সে নিজের পরিবারকে ভালোবাসবে।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য