প্রয়াত কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র
না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সোমেন মিত্র। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বুধবার মাঝরাতে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি ছিল। এছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার তিনি জর্জরিত ছিলেন। ডায়ালিসিস চলছিল। তাঁর কোভিড টেস্ট -এর ফলাফল নেগেটিভ এসেছিলো।
তাঁর মৃত্যুতে প্রবল শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। আমহার্স্ট স্ট্রিটের ‘ছোড়দা’ তথা প্রয়াত বরকত গনিখান চৌধুরীর শিষ্য হিসেবেই সোমেন মিত্রের কংগ্রেস রাজনীতিতে বেশি পরিচিত ছিলেন।
কংগ্রেস নেতার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার সূত্রেই এ খবর জানা যায়, তাঁর অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রদেশ সভাপতির মৃত্যুর খবর জানায় প্রদেশ কংগ্রেস।
পরিবারের সদস্যদের কথায় বুধবারও নার্সিং হোমে তিনি হাঁটাচলা করেছিলেন। পরিজনদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু বেশি রাতে তিনি আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তাতে শেষ রক্ষা হয়নি।
[ আরও পড়ুন : মাত্র ৪০ মিনিটেই মিলবে করোনার রিপোর্ট, পথ দেখাচ্ছে বাংলা ]
উল্লেখ্য, কংগ্রেস রাজনীতিক হিসেবে শিয়ালদহ কেন্দ্র থেকে একাধিকবার বিধায়ক হয়েছিলেন। ১৯৭২ সাল থেকে টানা ২০০৬ পর্যন্ত তিনি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস নামে এক নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। যদিও ২০০৯ সালে তাঁর সেই দল মিশে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে।
WBPCC President Somen Mitra has breathed his last, a short while ago. As we struggle to come to terms with this immense loss, all our prayers and thoughts are with Dada’s family.
May his soul rest in peace 🙏 pic.twitter.com/lkDW8Q8f3q
— WB Youth Congress (@IYCWestBengal) July 29, 2020
২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়যুক্ত হন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় জানুয়ারি ২০১৪তে তিনি আবার তাঁর পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসে ফিরে আসেন।
সুত্র: Peoples Reporter