জাতীয়

রাম মন্দিরে থাকবে ২১০০ কেজির অষ্টধাতুর ঘণ্টা, সৃজনে সহায়ক মুসলিম কারিগররাও

রাম মন্দিরে থাকবে ২১০০ কেজির অষ্টধাতুর ঘণ্টা, সৃজনে সহায়ক মুসলিম কারিগররাও - West Bengal News 24

দাউ দয়াল ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন আকারের ঘণ্টা প্রস্তুত করে আসছেন। চার প্রজন্ম ধরে। এবারে রাম মন্দির নির্মাণের মুহূর্তে তিনি যে ঘণ্টাটি বানিয়েছেন, তা দেখে সকলের তাক লেগে গিয়েছে। কিন্তু এখনই তাক লাগালে চলবে না। চমকাবেন এবং ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটে উঠবে যখন জানতে পারবেন যে, ঘণ্টার ডিজাইন করেছেন একজন মুসলিম শিল্পী, ইকবাল মিস্ত্রী।

দয়াল ও দয়ালের কারিগরেরা মিলে অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য ২,১০০ কেজি ওজনের ঘণ্টা বানিয়েছেন। তিনি জানালেন, ‘আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা নকশা প্রস্তুতি, নিষ্পেষণ কার্য ও পালিশের কাজে খুব পটু।‌ আর এতবড় একটি ঘণ্টা বানাতে গেলে নানাবিধ জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনাকে পদে পদে দেখতে হবে, একটি ছোট্ট ধাপেও যেন আপনার কোনও ভুল না হয়ে থাকে।

ভয় কাজ করছিল মনে মনে। কাজটি ভাল না হলে! গলিত ধাতবটি ঢালতে গিয়ে যদি পাঁচ সেকেন্ডেরও দেরি হয়ে যায়, তাহলে পুরো খাটনিটা জলে যাবে।‌ শুধু পিতল দিয়ে তৈরি নয় এই ঘণ্টাটি। অষ্টধাতু দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, দস্তা, সীসা, টিন, লোহা এবং পারদ। কিন্তু অন্যদিকে আমাদের মধ্যে উত্তেজনাও কাজ করছিল। রাম মন্দিরের জন্য ঘণ্টা বানানোর অর্ডার যে!‌’‌

[ আরও পড়ুন : বিশ্ব আদিবাসী দিবসে উন্মোচিত বিদ্যাসাগর, খুশি ঝাড়গ্রামবাসী ]

এই প্রথম দয়াল ও মিস্ত্রী‌ এতবড় ঘণ্টা বানানোর কাজ পেয়েছেন। অত্যন্ত উত্‍সাহের সঙ্গে কাজটি করেছেন বলে জানালেন তাঁরা। হিন্দু ও মুসলিম ধর্ম সম্প্রদায়ের মোট ২৫ জন কর্মী একসঙ্গে কাজ করেছেন। রোজ আট ঘণ্টা ধরে খেটে এই ঘণ্টাটি তৈরি হয়েছে।

এটাহ্‌ জেলার জলেসার পৌর কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং যেখানে বেলটি তৈরি করা হয়েছে, তার কর্মশালার মালিক বিকাশ মিত্তালের কাছ থেকে জানা গেল, তাঁরা ২১ লক্ষ টাকা মূল্যের এই ঘণ্টাটির জন্য কোনও টাকা নিচ্ছেন না। তাঁরা রাম মন্দিরকে দান করছেন এই ঘণ্টাটি। তাঁদের কাছে এই অর্ডারটি আসা ভগবানের আশীর্বাদসম।

[ আরও পড়ুন : ফাজের বেল্ট দিয়েই সুশান্ত কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে! ]

সুত্র: আজকাল.in

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য