করোনা রোগীদের ফোনের কল রেকর্ড ব্যবহার করা হবে কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে এই রাজ্যে
করোনা রুখতে নয়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কোভিড আক্রান্তদের সংস্পর্শে সম্প্রতি কারা এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখতে তাঁদের ফোনের কল রেকর্ড ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজয়ন। কেরলের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এটাই একমাত্র বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। কোভিড পজিটিভ যাঁদের ধরা পড়বে তাঁদের মোবাইলের কল রেকর্ড ব্যবহার করার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘এই কাজ করতে গিয়ে কখনওই কারও ব্যক্তিগত কোনও বিষয়ে নাক গলাবে না পুলিশ। যা ব্যক্তিগত সব কিছুই সুরক্ষিত থাকবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। কল রেকর্ড কেবল ব্যবহার করা হবে কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্যই।’ তিনি জানিয়েছেন, যাঁর পজিটিভ ধরা পড়ছে তিনি এর মধ্যে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন তা খুঁজে বের করা হবে। একটা সময় কোভিড সংক্রমণ প্রায় নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছিল দক্ষিণের রাজ্যটি।
আরও পড়ুন : দেবতা রামকে নিয়ে রসিকতা, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা ]
কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা এবং আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর সারা দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো কেরলেও কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। দু’দিন আগেই সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কেরল না থাকলেও ওই বৈঠকে মোদী জোর দিয়েছিলেন, ‘৭২ ঘণ্টার ফর্মুলা’ মানার জন্য। ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলা কী? প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, কারও পজিটিভ ধরা পড়লে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে টেস্ট ও আইসোলেট করতে পারলেই ফল মিলবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে এই ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলাতেই জোর দেওয়ার কথা বলছেন।’ টেস্ট এবং কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ নমুনা পরীক্ষা ও চিকিত্সা না হলে কোভিডকে রোখা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত করোনা পর্বের শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ট্রিপল টি’ ফর্মুলার কথা বলেছিল। তা হল, ‘টেস্ট, ট্রেসিং এবং ট্রিটমেন্ট।’
[ আরও পড়ুন : ভারত কবে আসতে চলেছে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন! জানেন কী? ]
যদিও অনেকের মতে, আনলক পর্বে ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলা বস্তবায়িত করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, যিনি আজকে পজিটিভ হচ্ছেন, তিনি গত ৭২ ঘণ্টায় গণপরিবহণে কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা খুঁজে বের করা মুশকিল। সম্ভবত সে কারণেই কল রেকর্ড ব্যবহারের ভাবনা কেরল সরকারের। যাতে পজিটিভ রোগীর সাম্প্রতিক গতিবিধি এবং সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করা যায়।
সুত্র: THE WALL