‘যবে থেকে কাজে ঢুকেছি, তাঁকে গাঁজা খেতে দেখেছি : সুশান্তের রাঁধুনী দীপেশ
শনিবার বয়ান রেকর্ড করার জন্য সুশান্তের রাঁধুনী দীপেশ সাওয়ান্তকে তলব করেছিল নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেষে সন্ধ্যেবেলা তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি কখনও গাঁজা কেনেননি। কিন্তু বাড়িরই আরেক কর্মী ‘ঋষিকেশ পাওয়ার সুশান্ত স্যরের জন্য গাঁজা কিনে আনত।’ এছাড়াও আব্বাস খালুই নামে একজনের নাম করেছেন দীপেশ।
দাবি, ‘তিনি গাঁজা বানিয়ে দিতেন, আর সুশান্ত স্যরের সঙ্গে বসে গাঁজা খেতেন। আমি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কাজে ঢোকার দু’তিনদিন পর থেকেই দেখেছি স্যরকে গাঁজা খেতে। আমি যখন অশোক ভাইকে (আরেক রাঁধুনী) জিজ্ঞেস করি, তখন তিনি বলেছিলেন যে, হ্যাঁ তিনি গাঁজা আর চরস খান।
আমি অশোক ভাইয়ের থেকেই জানতে পারি যে করণ বলে একজন তাঁকে প্রথমবার গাঁজা আর চরস এনে দেন। কিন্তু আমি কখনও গাঁজা বা চরস নিয়ে আসিনি সুশান্ত স্যরের জন্য।’
কিন্তু রবিবার বিকেলে এনসিবি জানায়, দীপেশ সাওয়ান্ত যে মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তা প্রমাণিত। ডিজিটাল প্রমাণও মিলেছে।
আরও পড়ুন : আজ গ্রেফতার হতে পারেন রিয়া চক্রবর্তী
দুই মাদক পাচারকারী করন অরোরা, আব্বাস লাখানির থেকে ৫৯ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল। সেই সুবাদেই মামলায় হস্তক্ষেপ করে এনসিবি। ওই দুই মাদক পাচারকারীর সঙ্গে যোগ থাকায় রিয়ার ভাই শৌভিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে রিয়াকে জেরা করেছে এনসিবি।
রিয়ার ভাই শৌভিকের সঙ্গে সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। মাদক-বিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ আনা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত তাঁদের হেপাজতে রাখা হবে। চলতি সপ্তাহে একাধিক ড্রাগ চ্যাটের সূত্র ধরে মাদক ব্যবসায়ী জায়েদ ভিলাত্রা, বসিত পরিহার এবং কায়জাদ ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে।
জেরায় তিনজনই জানিয়েছে, তারা শৌভিককে ঘনিষ্ঠভাবে চিনত। শৌভিক তাদের থেকে প্রায়ই মাদক কিনতেন। ধৃতদের এক জায়েদ, শৌভিকের বিশেষ বন্ধু। মুম্বইয়ের বান্দ্রার একটি ফুটবল ক্লাবে খেলতে গিয়ে দু’জনের আলাপ। ওই মাঠেই পরে মাদক বেচাকেনা হত। সেই মাদক যেত সুশান্তের কাছেও। যদিও শৌভিকের থেকে কোনও মাদক মেলেনি। জানা গিয়েছে, যে মাদক পাচারকারীদের থেকে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগ ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের।
সুত্র: আজকাল.in