ওজন কমাতে ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া কি গুরুত্বপূর্ণ?
ওজন কমাতে শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক সপ্তাহে যথেষ্ঠ পরিমাণ ওজন কমাতে কাউকে ক্যালোরি পোড়াতে হয় আবার কাউকে কম ক্যালোরির খাবার গ্রহণ করতে হয়। এজন্য প্রতিদিন ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে কয়েকজন বিজ্ঞানী মনে করেন যে, ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া ওজন কমানোর আদর্শ কোন উপায় না।
ক্যালোরি কাউন্ট করা কেন ভালো না:
বিজ্ঞানীরা ক্যালোরির হিসাব না করে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন। এতে করে দেখা যায় ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ক্যালোরি কম খাওয়ার ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ও পেশীর ক্ষতি হতে পারে। এতে করে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সুষম ডায়েট করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
দাবির পিছনে যুক্তি:
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর কম চর্বিযুক্ত ডায়েট এবং স্বাস্থ্যকর কার্ব ডায়েটের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।
নিম্ন-শর্করাযুক্ত ডায়েটের মধ্যে ওজনের কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পাওয়া যায়নি। ৬০৯ জনের উপর ১২ মাস পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যালোরি গ্রহণের বিষয়ে যারা চিন্তা করে না এবং যারা ক্যালোরি মেপে ডায়েট করে তাদের উভয়ের ওজন সমান হারেই কমে।
আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে জল পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
ক্যালোরি মেপে খাওয়া বন্ধ করা উচিত:
ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি কম খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তবে সমীক্ষা বলছে আপনি কতটুকু খাবার খান তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কি খাচ্ছেন। ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি গণনা করার পরিবর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বস,প্রোটিন ও ফ্যাট খাওয়ার উপর মনোনিবেশ করা উচিত।
সকালে খাবারের মতো, যদি আপনি এমন একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার খান যা আপনাকে আপনার ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বজায় রাখতে সহায়তা করবে তবে অন্যান্য পুষ্টি থেকেও আপনাকে বঞ্চিত করবে। এর ফলে বিপাক ক্রিয়া ধীর হবে এবং আপনাকে দূর্বল করে দেবে।
পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আপনার শক্তি বজায় রাখে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সহায়তা করবে। মনে রাখবেন যে আপনার লক্ষ্যটি স্বাস্থ্যের সাথে আপস না করে ওজন কমানো।