জাতীয়

করোনা পরীক্ষায় ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে ‘ফেলুদা’

করোনা পরীক্ষায় ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে ‘ফেলুদা’ - West Bengal News 24

কম খরচে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ভারতের একদল বিজ্ঞানী। এ পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্সি (গর্ভধারণ) পরীক্ষার মতোই দ্রুততম সময়ে করোনা শনাক্ত করা যাবে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্রের নাম অনুসারে দ্রুত কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য উদ্ভাবিত এ টেস্ট কিটের নাম রাখা হয়েছে ‘ফেলুদা’।

জিন-সম্পাদনা প্রযুক্তি ‘ক্রিসপার’-এর ওপর ভিত্তি করে ‘ফেলুদা’ টেস্ট পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে ৫০০ রুপি খরচায় করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল দিতে পারবে ‘ফেলুদা’। এই টেস্ট কিটটি উদ্ভাবন করেছেন ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) ইনস্টিটিউট অব জেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির (আইজিআইবি) গবেষকেরা।

‘ফেলুদা’র সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা

র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের চেয়ে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ‘ফেলুদা’ অনেক নির্ভুলভাবে ফল জানাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেভাবে ‘ফেলুদা’ কাজ করছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, খুব সহজেই অন্য করোনাভাইরাস থেকে সার্স-কভ-২ (নভেল করোনাভাইরাস) আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারছে ‘ফেলুদা’।

আরও পড়ুন : শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্স ভেদ করতে নয়া অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইলের সফল পরীক্ষা ভারতের

ভারতের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে ‘ফেলুদা’ টেস্ট কিট নিয়ে আসে দিল্লির আইজিআইবি। এরই মধ্যে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া ‘ফেলুদা’র কমার্শিয়াল লঞ্চের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস চিহ্নিতকরণে ‘ফেলুদা’ ৯৬ শতাংশ সেনসিটিভিটি এবং ৯৮ শতাংশ সঠিক নির্ণয় করেছে বলে জানা গেছে।

প্রথাগত আরটি-পিসিআর টেস্টের মতোই নির্ভুলভাবে করোনা পরীক্ষা করতে পারছে ‘ফেলুদা’।

প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ টেস্টের মতোই ‘ফেলুদা’ টেস্টে কারো শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়লে স্ট্রিপের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। স্ট্রিপে দুটি নীল দাগ এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির করোনা পজিটিভ, আর একটি নীল দাগ এলে করোনা টেস্ট নেগেটিভ।

‘ফেলুদা’র সাফল্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মানছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের রিসার্চ ফেলো ড. স্টিভেন কিসলার। তিনি বলেন, ‘(কোভিড-১৯) টেস্ট করতে যা যা প্রয়োজন, সেসব উপাদান সীমিত হওয়ায় এগুলো বেশি সংখ্যায় পাওয়ার জন্য আমরা যা যা করতে পারি, তার সবকিছুই করা উচিত। তাই ফেলুদা এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ।’

সিএসআইআর-আইজিআইবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. দেবজ্যোতি চক্রবর্তী ‘ফেলুদা’ উদ্ভাবন দলের অন্যতম সদস্য। তরুণ গবেষক ড. দেবজ্যোতি চক্রবর্তীর কাজকে স্বীকৃতি দিতে তাঁকে পুরস্কৃত করবে সিএসআইআর। নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘‌ফেলুদা’ আবিষ্কারের জন্য তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এ সম্মান পাচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য