দশমীতে ১০০ এর গন্ডি পেরোতে পারে পেঁয়াজের দাম!দাবি ব্যবসায়ীদের, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

কেউ বুঝে ওঠার আগে চুপিসারে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেঁয়াজ। প্রতিদিনই ৫-১০ রান করতে করতে পৌঁছে গেছে এখানে। সাধারণ মানুষের মাথায় হাত।কেন পেঁয়াজ এর দাম এত বাড়ছে? প্রশ্নের উত্তর একটাই,প্রকৃতির দোষ।
গতকাল খুচরো বাজারে পিয়াঁজ এর দাম গেছে ৮৫ টাকা প্রতি কেজি। অষ্টমীতে পেঁয়াজ ৯০ টাকা প্রতিকেজি হিসাবে গেছে। আগামী কাল নবমীর দিন, না হলেও দশমীর দিন, পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে খেতে হতে পরে ,ধারণা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের।
আজ বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি আমদানি ছিল ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা বস্তা (৪০ কেজি)। পেঁয়াজ এর দাম নিয়ে, আমদানী কারকদের দাবি ,প্রথমত প্রচণ্ড বৃষ্টির ফলে,দক্ষিণে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়।তারপর মহারাষ্ট্র সারা ভারত বর্ষের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু গত কিয়েকদিনের বৃষ্টি ও বন্যার ফলে,রীতিমত পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।এছাড়া মাঝে মাঝে বেশ কিছু জায়গায় আংশিক লক ডাউন হওয়ার ফলে পেঁয়াজ বাজারে এসে ঠিক সময়ে পৌঁছাচ্ছে না।উপরন্তু পিয়াঁজ যে বস্তায় আসছে,প্রতি ৪০ কেজিতে ৫ থেকে ১০ কেজি পচা বের হচ্ছে।দাবী পেঁয়াজ বিক্রেতাদের।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ড্রোন-কপ্টার গুলি করে নামাল সেনাবাহিনী
যার ফলে স্বাভাবিক ভাবে পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বাজারে পেঁয়াজ এর দামের অনেকটা ফারাক হচ্ছে। যদিও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেল,বাজারে তিন থেকে চার ধরনের পিয়াঁজ আসছে।সব থেকে কম দামের পেঁয়াজ খুচরো বাজারে নিয়ে আসছে বিক্রেতারা।
আজ সব থেকে নিম্ন মানের পেঁয়াজ এর দাম ছিল পাইকারি বাজারে ৪৮ টাকা কেজি।সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে।এই পিয়াঁজ দেখলেই সহজে বোঝা যায়,গা – টা ভেজা ভাব।খোলস গুলি শুকনো না।অনেকেই জানেন না।
তাই রীতিমত বোকা বানাচ্ছে,বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা।যার খুচরো বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া উচিত ছিল।কিন্তু তা হচ্ছে না।
টাস্ক ফোর্সের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে,তাদের ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারে ওই বিক্রেতাদের।কিন্তু সাধারণ ক্রেতারা সন্তুষ্ট বা খুশি নয় বাজারে গিয়ে।
সুত্র: নিউজ ১৮