“তৃণমূলে এই স্বাধীনতা নেই”: সৌমিত্র খাঁ
বিজেপি-তে অব্যাহত সৌমিত্র খাঁয়ের নাট্য পর্ব। একবার ইস্তফার ঘোষণা, তারপর তা আবার ফিরিয়ে নেওয়া।
প্রথমে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে নতুন জেলা কমিটি ও জেলা সভাপতি ঘোষণা। তারপর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সেই যুব মোর্চার জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া ও জেলা সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সৌমিত্র খাঁয়ের রাজ্য যুব মো্র্চার সভাপতি পদ থেকে ইল্তফা দেওয়ার ঘোষণা।
কয়েক ঘণ্টা পরে আবার ইস্তফার কথা ফিরিয়ে নেওয়া। এই নাটকে বৃত্ত সম্পূর্ণ হল মঙ্গলবার সৌমিত্র খাঁ দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ায়। দিলীপবাবুকে মুকুল রায়-কৈলাস বিজয়বর্গীয় গোষ্ঠীর ঘনিষ্ট সৌমিত্রর প্রণাম করার ছবি দেখা গেল মিডিয়ায়।
তারপর প্রথম কলকাতাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন তুণমূল বর্তমানে বিজেপি সৌমিত্র বললেন, তৃণমূলে এই স্বাধীনতা নেই। বিজেপিতে সেই স্বাধীনতা আছে। বিজেপিতে একটা কাঠামো আছে। বিজেপিতে জেলা সভাপতি ও যুব মোর্চার সভাপতি সম্মিলিতভাবে হয়।
আরও পড়ুন: দাঁতনে পুলিশের মদতে কর্মী খুনের অভিযোগ! হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের
তিনি বললেন, যা ছিল হয়ে গেছে। ওটা হয়। সব সমস্যা্ মিটে গেছে। যুব মোর্চার সভাপতি হওয়া বড় কথা নয়। তৃণমূলকে হটানোই মুল লক্ষ্য।
তিনি আরও বললেন, তারা তৃণমূলের অন্যায়, দুর্নীতি সহ্য করতে পারননি বলে বিজেপি-তে এসেছেন। মানুষের মতের পরিবর্তন হয়। তাই নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করেছে ভারত। রাজ্য থেকেও লোকসভায় দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি ১৮চি আসন পেয়েছে।
মিডিয়ায় ছবি তোলার মাধ্যমে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সৌমিত্র খাঁয়ের দ্বন্দ্ব পুরোপুরি মিটে গেল কি না তা সময়ই বলবে। এই ঐক্যের ছবি ২০২১এর ভোট পর্য়ন্ত টিকে থাকে কি না, সেই কৌতূহল এখন থাকবে বাংলার মানুষের!
সুত্র: প্রথম কলকাতা