সম্পর্ক

হুটহাট রেগে যায় প্রেমিক, কী করবেন জেনে নিন

হুটহাট রেগে যায় প্রেমিক, কী করবেন জেনে নিন - West Bengal News 24
প্রতিকি ছবি

প্রেম কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রে ঝগড়া হবেই হবে। আবার যদি কেউ এমনটা বলে থাকে যে আমরা সম্পর্কে থাকার সময় কোনোদিন ঝগড়াঝাটি করিনি, তা হবে নিছক রসিকতা।

টানা সাতদিন ঝগড়া, কথা বন্ধ থাকলে তবেই সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। যেখানেই ভালোবাসা বেশি, ঝগড়া খুনসুঁটি কিন্তু সেখানেই বেশি। কারণ কোনও মানুষই কখনও পারফেক্ট হন না। সবারই আলাদা মতাদর্শ আছে। তাই মতবিরোধ স্বাভাবিক। কিন্তু সবসময় আবার সামান্যতেই সমস্যা হলে সেটাও কাম্য নয়।

ঠিক যেমন কথায় কথায় রেগে যাওয়া, ২৪ ঘন্টাই চিৎকার, ঝামেলা যে সম্পর্কে থাকে, সেই সম্পর্ক কিন্তু চিরস্থায়ী হলেও সুখের হয় না।

তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি বদমেজাজী হয়। এমনও অনেকে আছেন, যারা কথায় কথায় রেগে যান। মাথা গরম হয়ে যায়। এমনকি প্রেমিকারা কখন কোথায় যাবে, কী করবে , কী খাবে সবই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান; সেখানে কিন্তু আত্মসম্মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে মেয়েটির দিকেই।

হাজার হোক, ভালোবাসার জন্য কখনই নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তবে অনেকেই আবার বলেন, একটা সম্পর্ক গড়তে অনেক কষ্ট হয়, তাকে এভাবে বিকিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু সমস্যা হলে এবং নিজে মন থেকে ভালোবাসতে না পারলে সেই সম্পর্ক থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসুন। তবে তার আগে দেখে নিন কিছু পরামর্শ:

আপনার প্রেমিক যদি কথায় কথায় রেগে যান, সেক্ষেত্রে সেই মুহূর্তে কোনোরকম ঝগড়ায় যাবেন না। রাগ হলে অনেকেই নিজেকে সামলাতে পারেন না, ভুলভাল কথা বলেন সামনের মানুষটিকে।

আরও পড়ুন: কী করে বুঝবেন ছেলেটি আপনার প্রেমে পড়েছে?

এই সময়ে নিজেকে ঠান্ডা রেখে মানসিকভাবে ঠিক থাকার চেষ্টা করুন। ওসব কথায় পাত্তা না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও বার বার এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু কোনও কোনও সময় নিজের কথা ভেবেই না হয় চেষ্টা করুন।

সম্পর্কে অধিকার বোধ থাকবেই। সামান্য হলেও থাকা প্রয়োজন। এটা দুজনের দিক দিয়েই থাকতে হবে। কিন্তু প্রতিটি বিষয়ে যদি প্রেমিক অধিকারবোধ জাহির করেন, সেক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে বলুন যে তার এই আচরণে আপনাদের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। যদি তিনি বোঝেন ভাল, না হলে একটা সময়ের পর সম্পর্ক থেকে আপনাকেই বেরিয়ে আসতে হবে।

হুটহাট রেগে যায় প্রেমিক, কী করবেন জেনে নিন - West Bengal News 24
প্রতিকি ছবি

অনেক ছেলের মধ্যেই এই প্রবণতা থাকে প্রেমিকাকে কন্ট্রোল করার। কারণ তারা মনে করেন, মেয়েরা নিজের ভালো বোঝে না। অভিভাবকের মতো প্রেমিকাকে ট্রিট করেন। প্রতিটি বিষয়ে নাক না গলালে তাদের চলে না। এবার প্রেমিকা একদিন নিজের মতো চললেই ঝগড়া ও অশান্তি হয়।

এমন পরিস্থিতিতে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক, আর সকলেই নিজের ভালোটা বোঝেন। এতটা খবরদারি না করলেও চলবে। নিজেরটুকু আপনি নিজেই করে নিতে পারবেন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা আজকের দিনে চাকুরিজীবী। প্রেমিক ও প্রেমিকা উভয়েই আয় করেন। দুজনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় উচ্চপদে চাকরি করেন। ফলে মুখে না বললেও অনেক ছেলে তা মেনে নিতে পারেন না।

এই সংক্রান্ত ঝামেলা হলে প্রথমেই বোঝান, আজকের দিনে পথ চলতে টাকা কত জরুরি। আপনি আয় বেশি করলে তাতে সম্মান হানির কোনও ব্যাপার নেই। বরং সুখে থাকবেন। এর পরেও যদি প্রেমিক ঝামেলা করেন তাহলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসািই ভালো হবে।

সূত্র: জিনিউজ

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য