টলিউড

নক্ষত্রপতনের পাশাপাশি একটা যুগ শেষ হয়ে গেল: ঋতুপর্ণা

নক্ষত্রপতনের পাশাপাশি একটা যুগ শেষ হয়ে গেল: ঋতুপর্ণা - West Bengal News 24
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছবি সংগৃহীত

অসংখ্য ভক্ত ও গুণগ্রাহীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

এই অভিনেতার মৃত্যুতে সবার মতো শোকাহত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আনন্দবাজার পত্রিকায় তিনি বলেন, ‘যখন খুব কাছের মানুষ কেউ চলে যান, মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। ঠিক জানে না, কী বলবে, কী করবে? আমারো অবস্থা ঠিক সেই রকমই।

বুঝতে পারছি না, কী বলব! কী ভাবেই বা এই শোক সামলাব? জানি না। মনটা অনেক দিন ধরেই খারাপ ছিল। সৌমিত্রকাকু অসুস্থ। এর আগেও যতবার অসুস্থ হয়েছিলেন, এক মনে ঈশ্বরকে ডেকেছি। তিনি যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।

ভগবান সেই প্রার্থনা শুনেছেন। আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন সৌমিত্রকাকু। দুরারোগ্য ব্যাধিকে হার মানিয়ে। কখনো আমাদের নিরাশ করেননি। এই প্রথম হার মানলেন কিংবদন্তি অভিনেতা।’

ব্যক্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই অভিনেত্রী বলেন, “২৫-২৬ বছর আগে প্রথম যখন অভিনয় দুয়ারে পা রাখলাম তখন থেকেই সৌমিত্র কাকুর স্নেহ পেয়েছি। কত ভালোবাসা, শিক্ষা, জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেছেন। অনেক বছর ধরে দেখেছি তাকে। এক বয়স থেকে আরেক বয়সে পা রাখা— সবটাই দেখলাম নিজের চোখে।

আরও পড়ুন: মিমির ঠোঁটের ভিতরে ঠোঁট দিয়ে তুমুল লিপ কিস অভিনেতা জিতের, ভাইরাল ভিডিও!

আমার ছোট থেকে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। নিউ কামার্স হিসেবে যখন পা রাখলাম ইন্ডাস্ট্রিতে খুব ভয়ে ভয়ে কাজ করতাম সৌমিত্র কাকুর সঙ্গে। মনে পড়ছে, ‘শ্বেত পাথরের থালা’র সঙ্গে আরো একটি সিনেমা করেছিলাম, ‘শেষ চিঠি’। সৌমিত্রকাকুর সঙ্গে ছিলেন তনুজা সমর্থ।

নক্ষত্রপতনের পাশাপাশি একটা যুগ শেষ হয়ে গেল: ঋতুপর্ণা - West Bengal News 24

বিশাল অভিজ্ঞতা সেটি আমার জীবনের। তখন সৌমিত্রকাকুর অল্পবয়স। দুর্দান্ত হ্যান্ডসাম। পরে কাজ করতে করতে যখন তুলনায় স্বাভাবিক হলো সম্পর্ক, কথায় কথায় জানিয়েছিলাম, এত সুন্দর পুরুষ আমি এর আগে দেখিনি।”

সিনেমায় কাজের শেষ স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “সৌমিত্রকাকুর সঙ্গে আমার শেষ স্মৃতি ‘বেলাশেষে’ আর ‘বেলা শুরু’। দুটোতেই আমরা বাবা-মেয়ে। এই দৃশ্য বাঙালি বোধহয় চট করে ভুলতে পারবে না।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বাংলাকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। বাংলার সৃষ্টি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ভাষা, প্রেম, গর্ব তার রক্তে, মজ্জায়। তাই আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়ার পরেও বাংলাকে ভালোবাসতে কার্পণ্য করেননি।”

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর সঙ্গে একটি যুগের সমাপ্তি হয়েছে বলে মনে করেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, ‘তার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। মনে পড়ছে, বসু পরিবার সিনেমার শুটিংয়ের সময় সেটে অপর্ণা সেন আর সৌমিত্র কাকু কত কিছু নিয়ে আলোচনা করতেন! একজন জীবনানন্দ দাশ বললেন আরেক জন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আওড়াতেন। নক্ষত্রপতনের পাশাপাশি একটা যুগ শেষ হয়ে গেল।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য