ভোটের মুখে ধীরে ধীরে পালটে যেতে শুরু করেছে পাহাড়ের রাজনীতি। বিমল গুরুং সমতলে এসে সভা করবেন বলে ইতিমধ্যেই খবর চাউর হয়ে গিয়েছে। তারপর তিনি পা রাখতে পারেন পাহাড়ে। ফলে গুরুংকে ঘিরে পাহাড়ের রাজনীতি যখন সরগরম হওয়ার মুখে ঠিক তখনই পাহাড়ে গঠিত হলো নতুন এক রাজনৈতিক দল।
রাষ্ট্রীয় গোর্খা আদিবাসী মোর্চা নামে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষনা দেওয়া হলো শুক্রবার। পাহাড়ের সোনাদায় রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষনা দিলেন দলের সভাপতি অমৃত সিং সিঞ্চুরি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাহাড় এবং পাহাড় লাগোয়া চা শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। আর সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এই নতুন রাজনৈতিক দ৯ল গঠন।
রাজনৈতিকভাবে চা শ্রমিকদের দুঃখ, কষ্ট এবং দুর্দশার কথা রাজ্যস্তরে এবং জাতীয় স্তরে তুলে ধরাই হবে রাষ্ট্রীয় গোর্খা আদিবাসী মোর্চার প্রধান উদ্দেশ্য। তবে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ময়দানে লড়াইতে থাকবে কি না তা স্পষ্ট করেনি। অমৃত সিং সিঞ্চুরি জানান, আপাতত দলের কোর কমিটি গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুরভোট করছে, লোকের বাড়িতে খেয়ে ছবি তুলছে!: মমতা
তার পর সেই কোর কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে ভোটের ময়দানে তারা লড়াইতে নামবে কি না। এদিকে পাহাড়ে চা শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে নয়া এই রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটলে তা রাজ্য রাজনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে না তার গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে না। কারন, পাহাড়ের চা শ্রমিকদের নিয়ে নানা সমস্যা ও অভাব অভিযোগ এর আগে সংবাদ শিরোনামে উঠেছে।
পাহাড়ে ভোট ব্যাংকের একটা বৃহত্তর অংশও জুড়ে রয়েছেন এই সমস্ত চা শ্রমিকরা। ফলে পাহাড়ে বুকে যদি ভোটের আগে গোর্খ্যা আন্দোলন ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং সেই গোর্খ্যা আন্দোলনের পথে যদি এই নয়া গঠিত রাজনৈতিকদল অংশ নিয়ে নেয় তাহলে আসন্ন বিধানসভা ভোটে পালটে যেতে পারে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরন।
সুত্র: প্রথম কলকাতা