ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়ি-বাড়ি দু’ভাগে জঞ্জাল সংগ্রহ, উদ্যোগ পুরসভার

স্বপ্নীল মজুমদার

ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়ি-বাড়ি দু’ভাগে জঞ্জাল সংগ্রহ, উদ্যোগ পুরসভার - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: এবার এলাকাবাসীর বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন পুর-সাফাই কর্মীরা। এজন্য পরিবার পিছু জঞ্জাল-কর বাবদ দৈনিক এক টাকা ধার্য করেছে পুরসভা।

ঝাড়গ্রাম শহরকে জঞ্জালমুক্ত করতে পুরসভার এই নয়া উদ্যোগ। পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রশান্ত রায় জানালেন, ‘মিশন নির্মল বাংলা’র আওতায় বাড়ি-বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য বিশেষ এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শনিবার ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের সূচনা-অনুষ্ঠানে প্রশান্তবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক তুষারকান্তি সৎপথী, পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানা, পুর প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য কল্লোল তপাদার, সমাজসেবী স্বপ্না দাস প্রমুখ।

প্রশান্তবাবু এদিন ওই এলাকার পুরনাগরিকদের হাতে দু’টি করে জঞ্জাল রাখার ঢাকনা দেওয়া বালতি তুলে দেন। তিনি জানান, শহরের ২০,৬৬০ টি বাড়িতে এ রকমই দু’টি করে বালতি দেওয়া হবে। মিশন নির্মল বাংলা থেকে এরকম ৪০ হাজার প্লাস্টিকের বালতি পাওয়া গিয়েছে। এদিন ওই দু’টি ওয়ার্ডের চারশো বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হল। পরে সমস্ত বাড়িতে বালতি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : দেড়মাসের যুদ্ধে জয়ী ‘জয়’ গেল দত্তক হোমে

শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবুজ বালতিতে পচনশীল জঞ্জাল রাখতে হবে। নীল বালতিতে অপচনশীল জঞ্জাল রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে পুরসভার সাফাইকর্মীরা এলাকায় জঞ্জালের গাড়ি নিয়ে এসে বাড়ির সামনে বাঁশি বাজাবেন। ওই গাড়িতে দু’ভাগে জঞ্জাল সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন সাফাই কর্মীরা। ওই জঞ্জাল সংগ্রহ করে পরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে গিয়ে ফেলা হবে।

প্রশান্তবাবু বলেন, জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য দৈনিক এক টাকা হারে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলার আগে জঞ্জাল পৃথকীকরণ করা হবে। অপচনশীল জঞ্জালের জন্য আগামী দিনে ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট’ রূপায়ণ করা হবে। এজন্য ১০ কোটি বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে পুর বিষয়ক দপ্তর থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : পদ্মের সঙ্গ ছেড়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী, প্রতিবাদে ঘাসফুলের নজরকাড়া মিছিল

প্রশান্তবাবু জানান, শহরের ১৮টি ওয়ার্ডেই সব বাড়ির জন্য দু’ধরনের বালতি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে যে সব এলাকায় জঞ্জাল নিয়ে বেশি সমস্যা রয়েছে সেখানে বালতি দেওয়া হচ্ছে। ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু বহুতল রয়েছে। ওই সব বহুতলের জঞ্জাল ফেলার সমস্যা রয়েছে। তাই এই দু’টি ওয়ার্ড থেকে প্রথম এই প্রকল্প শুরু হল।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য