জানা-অজানা

টিন এজারদের দ্বারা সংঘটিত ৫টি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের “সত্য” কাহিনী

টিন এজারদের দ্বারা সংঘটিত ৫টি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের “সত্য” কাহিনী - West Bengal News 24

স্বাভাবিকভাবে সব দেশেই শিশু-কিশোরদের বলা হয় পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক। সাহিত্য থেকে মিডিয়া, প্রতিটি সমাজেই এটা বহুল প্রচলিত ধারণা। কিন্তু তবুও তারা হয়ে উঠতে পারে ভয়াবহ নৃশংস, ঘটাতে পারে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। আজ থাকলো সেরকমই কিছু ঘটনা। পড়তে পড়তে কখনো গা শিউরে উঠবে আপনার, কখনো শিশুদের নির্মমতায় হতবাক হয়ে যাবেন। এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর ভয়ংকর রূপটা যেন নতুন ভাবে ধরা দেবে চোখে। কাহিনী গুলো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ও হত্যা চেষ্টার।

টিন এজারদের দ্বারা সংঘটিত ৫টি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের “সত্য” কাহিনী - West Bengal News 24(১) ইরিন ক্যাফি
ইরিন ক্যাফি নামের মেয়েটির খুব সামান্য একটি ইচ্ছা ছিল। সেটা হলো তার বয়ফ্রেন্ডের জেমস উইল্কিনসনের সাথে ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু তার বাবা-মা তার এরকম ঘোরাঘুরির পক্ষপাতী ছিলেন না। অতএব ইরিনের সামনে একটাই পথ খোলা ছিল, সেটা হলো পথের কাঁটা দূর করা। ২০০৮ সালের মার্চ মাস। জেমস ও তার আরেক বন্ধু ওয়াইড ইরিনদের বাড়িতে হামলা চালায়। ইরিনের মা সাথে সাথে নিহত হন, বাবা হন আহত। ইরিনের দুই ভাই ম্যাথু ও টাইলারকে হত্যা করা হয় অত্যন্ত অদ্ভুতভাবে। ম্যাথুকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়, টাইলারকে হত্যা করা হয় ছুরিকাঘাতে। ইরিন, জেমস ও ওয়াইড এরপর সে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, দোষী সাব্যস্ত হয়। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

টিন এজারদের দ্বারা সংঘটিত ৫টি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের “সত্য” কাহিনী - West Bengal News 24(২) জোসুয়া ও তার মা
আমেরিকার ডেট্রয়েট নামের জায়গাটি আগে থেকেই ছিল বেশ অপরাধ প্রবণ। এ শহরেই বেড়ে উঠছিল জোসুয়া স্মিথ নামে একটি ছেলে। ১৪ বছর বয়সী জোসুয়া তার মাকে গুলি করে হত্যা করে, যিনি সোফাতে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। কি ঘটেছিল আসলে? জোসুয়া স্থানীয় বখাটে ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়াতে চাইতো, যেটা তার মা টামিকো রবিনসনের পছন্দ ছিল না। টামিকো জীবনে অনেক পরিশ্রম করতেন ও চাইতেন তার ছেলেটি ভালভাবে বেড়ে উঠুক। জোসুয়া প্রায়ই অনেক রাতে দেরিতে ঘরে ফিরে আসতো। তার মা তাকে বললেন যে তাকে রাত ১১ টার মাঝে ঘরে ফিরতে হবে। শুধু তাই নয় ঘরে মেয়েদেরকে নিয়ে আসার ব্যপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন তিনি। একদিন জোসুয়া বাড়ি ফিরে নিজের রুমে চলে গেল ও রাত তিনটায় বের হয়ে একটি শটগান দিয়ে গুলি করে তার মাকে হত্যা করলো। এরপর একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

টিন এজারদের দ্বারা সংঘটিত ৫টি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের “সত্য” কাহিনী - West Bengal News 24(৩) মোবাইল ফোন ও একটি খুন
কিশোর-কিশোরীদের অনেকেই আজকাল নিজেদের আইফোন, আইপ্যাড নিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকে। কিন্তু সারাদিন এটা নিয়ে সময় কাটানো নিশ্চয়ই যে কোন বাবা-মা’র জন্য মাথাব্যথার কারণ হবে। এখন যে ঘটনাটি আমরা জানবো, সেখানে পুলিশ মেয়েট্র পরিচয় প্রকাশ করে নি। মেয়েটির বাবা তার থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, যেটাতে সে সারাদিন ব্যস্ত থাকতো। রাগের মাথায় মেয়েটি তার বাবাকে আক্রমণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাবা সাহায্যের জন্য ৯১১ এ ফোন দিতে গেলে মেয়েটি তাকে বাধা দেয় ও বাধ্য করে আহত অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ফোন দিতে। বাবা পরে মারা যান। মেয়েটিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

টিন এজারদের দ্বারা সংঘটিত ৫টি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের “সত্য” কাহিনী - West Bengal News 24(৪) ঘরের কাজ করতে বলা হল কেন?
আলফো মুনোজ তার সৎ ছেলেকে ২২ ক্যালিবারের একটি বন্দুক চালাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। কারণ যাতে কোন জরুরি অবস্থায় সে এটি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তিনি ভাবেন নি এটা হিতে বিপরীত হবে। ১২ বছর বয়সী ছেলেটির মা সারা মাদ্রিদ প্রায়ই ছেলেটিকে ঘরের বিভিন্ন কাজে তাকে সহযোগিতা করতে বলতেন। যেটা তার পছন্দ ছিল না মোটেও। একদিন ছেলেটিকে বকাঝকা করে মা বাইরে গেলেন। ফিরে আসামাত্রই ছেলেটি গুলি করে মাকে হত্যা করে ও বন্দুকটি তা সৎ বাবাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে ছেলেটি দোষী সাব্যস্ত হয়।

(৫) বাচ্চা ভয়ংকর…
এডিংটন শহরের দুই ভাই যাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ১০ ও ১১ বছর, একদিন খেলার মাঠে তাদেরই সমবয়সী অন্য দুই বাচ্চার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রথমে দুই ভাই মিলে তাদেরকে এলোপাথারি কিল-ঘুষি-লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আহত বাচ্চাদেরকে লাঠি, ইট ও কাচের টুকরো দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলা হয় ও জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরো দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়। বাচ্চাগুলোকে ভয়াবহ আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুই ভাই আদালতে জানায়, তারা ঐ দুটি বাচ্চাকে প্রহার করা এজন্য থামিয়েছিল কারণ তাদের হাত ব্যথা হয়ে গিয়েছিল মারতে মারতে।

[এ ফিচারে বর্ণিত ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত কারো ছবি প্রদান করা হয় নি। সবগুলো ছবিই প্রতীকী।]

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য