নয়াগ্রাম: হরিণ শিকার করে আর মাংস খাওয়া হল না পাড়ু মুর্মুর। নয়াগ্রামের কুড়চিবনি গ্রামের পাড়ু শুক্রবার লাগোয়া জঙ্গলে ফাঁদ পেতে একটি হরিণ শিকার করেছিলেন। বাড়িতে কড়াইয়ে তাঁর স্ত্রী রান্না করছিলেন হরিণের মাংস।
অবশিষ্ট কাঁচা মাংস রাখা ছিল মাটির হাঁড়িতে। কিন্তু পড়শিদের অভিযোগের ভিত্তিতে বমাল পাড়ুকে ধরল বন দপ্তর। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের জামিন অযোগ্য ধারায় পাড়ুকে গ্রেফতার করেছে বন দপ্তর। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের কুড়চিবনি গ্রামের ঘটনা।
বছর পঞ্চাশের পাড়ুর বাড়ি থেকে কাঁচা হরিণের মাংস, একাধিক হরিণের শিং, চামড়া ও ফাঁদ বাজেয়াপ্ত করেছেন বনকর্মীরা। শনিবার অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ হয়।
আরও পড়ুন : আব্বাস সিদ্দিকিকে‘ফুরফুরার চ্যাংড়া’বলে সন্মোধন করলেন দিদি, আব্বাসের জবাব দিদি ‘অহংকারী’
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়াগ্রামের জঙ্গলে রয়েছে বেশ কিছু চিতল হরিণ। কিন্তু একটি চক্র প্রায়ই চোরাগোপ্তা হরিণ শিকার করছে বলে অভিযোগ। চড়া দামে হরিণের মাংস গোপনে বাইরে বিক্রি হয়ে যায়।
শুক্রবার স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানতে পারেন, পাড়ুর বাড়িতে হরিণের মাংস রান্না হচ্ছে। এরপরেই গ্রামবাসীরা খবর দেন নয়াগ্রাম রেঞ্জ অফিসে। বন দপ্তরের লোকজন এসে বমাল পাড়ুকে গ্রেফতার করে।