গ্রেনেড হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল করাচি, মৃত অন্তত ১৩
পাকিস্তানের করাচিতে একটি মিনি ট্রাকে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এতে একই পরিবারের ১২ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই নারী ও যুবক। হামলায় পুড়ে গেছে অনেকের শরীর। শনিবার দিবাগত রাতে শহরের বাইরের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এটা ছিল সন্ত্রাসী হামলা। তিনি আরো বলেছেন, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রেনেডের লিভার খুঁজে পেয়েছেন। তারা নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে রাশিয়ায় তৈরি ডিভাইস।
শহরের মদিনা কলোনি পুলিশ স্টেশনের কাছেই বলদিয়া এলাকায় এই হামলা হয়। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, হামলাকারীরা বিশেষ কোনো জাতিগত গ্রুপ নাকি উগ্রপন্থি তা নিশ্চিত হতে বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। মিডিয়াকে করাচির পুলিশ প্রধান ইমরান ইয়াকুব মিনহাজ বলেছেন, এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মিনি ট্রাকে আরোহীরা ছিলেন সোয়াত উপত্যকার একই পরিবারভুক্ত।
আরো পড়ুন : অবশেষে কাবুলে দখলদারি শুরু, বিনা লড়াইয়েই একের পর এক এলাকা দখল
স্থানীয় পুলিশ এবং সন্ত্রাস বিরোধী বিভাগ (সিটিডি) উভয়েই এ ঘটনার তদন্ত করছে। সিটিডির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রাজা উমর খাত্তাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বলেছেন, হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তাদের ছোড়া গ্রেনেড ওই মিনি ট্রাকের ভিতরে পড়ার আগেই বিস্ফোরিত হয়।
করাচি সাউথ জোনের ডিআইজি জাভেদ আকবার রিয়াজ বলেছেন, ওই ট্রাকে ঘটনার সময় ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ ছিলেন। তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন। কেয়ামারি এসএসপি ফিদা হোসেন জানওয়ারি বলেছেন, বলদিয়া এলাকার পারেশান চক থেকে ওই পরিবারটিকে নিজের পিকআপে তুলে নেন এর চালক।