মিথ্যা ধর্ষণের মামলা বাড়ছে! এই ‘বিকৃত’ প্রথা দমনে কড়া শাস্তির পক্ষে দিল্লি হাইকোর্ট
যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বিরক্ত দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তা দমনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মঙ্গলবার এক অভিযোগকারী অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেছে।
বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের কথায়, ‘অসত্ উদ্দেশে এই ধরনের মামলা দায়ের হয়। অনেকেই মনে করেন, অন্য পক্ষ ভয় বা লজ্জার কারণে তাদের দাবি মেনে নেবে। অন্যায়কারীদের তাদের কাজের পরিণতি না বোঝালে, এই ধরনের ভুয়ো মামলা রোধ করা কঠিন হবে।
আরো পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় দেশে সেরার সেরা নির্বাচিত হলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক
অভিযুক্তকে কড়া সাজা না দিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।’ দিল্লির আমন বিহার থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় একটা মামলা রুজু হয়েছিল। সেই মামলা খারিজের আবেদন করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। তা খারিজ করে বিচারপতি এই মন্তব্য করেন। এরপরই বিচারপতির সংযোজন, ‘ধর্ষণ শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়।
আরো পড়ুন : দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ইনি, কীভাবে?
একজন ব্যক্তিকে ধ্বংস করে ধর্ষণ। এক মহিলাকে মানসিকভাবে বিধস্ত করে দেয় ধর্ষণের ঘটনা। অনেক সময় গোটা জীবন সেই ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়।’ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘ধর্ষণের মতো গুরুতর এই অভিযোগ খারিজ করলে অভিযুক্তদের মনোবল বাড়বে। পরবর্তী সময়ে নিগ্রহের শিকার মহিলাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে পার পেয়ে যাবে ধর্ষণে অভিযুক্তরা।
এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে যা কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ কোনও ব্যক্তির জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিতে পারে। তাঁর সম্মান নষ্ট হয়। সারা জীবন নিজের পরিবারের মুখোমুখি হতে পারেন না। যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়। শুধু ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ আনা উচিত নয়।
সূত্র : আজকাল