দল বললে তিনি আগুনেও ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত। এমনটাই বলে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। রবিবার একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দল যদি তাঁকে ভবানীপুরে লড়াই করতে বলে, তাহলে তিনি তৈরি। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি (bjp)? রবিবারই শুভেন্দু অধিকারী নিজের জেলায় শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি অকৃতদার। পিছু টান নেই। তাই তাঁকে ভয় দেখিয়ে রুখে দেওয়া যাবে না।
সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
রাজ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন আর দুই কেন্দ্রে নির্বাচনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের তরফে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ভবানীপুর থেকে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর থেকে প্রার্থী হবেন আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই অবশ্য তৃণমূলের তরফে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে সব জায়গাতেই।
আরো পড়ুন : নেশার প্রতিবাদ করায় ভাইয়ের হাতে ‘খুন’ দাদা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
মঙ্গলবার প্রার্থী নিয়ে আলোচনায় বিজেপি
মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী আগে থেকেই ছিলেন। তবে সেই প্রার্থী তালিকায় কোনও বদল আনা হবে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকেই বলছেন, ভবানীপুরে তৃণমূলের জয় সময়ের অপেক্ষা। কেননা গত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফলের যে হিসেব রয়েছে, তা তৃণমূলের পক্ষেই রয়েছে। অন্যদিকেও, বাকি দুই আসনে বিজেপি কতটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিজেপির তরফে প্রার্থী নিয়ে আলোচনায় বসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য
তৃণমূল ছাড়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, দল চাইলে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করবেন। কিছু আগ বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করবেন। পরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর বাকিটা ইতিহাস।
দুহাজারের কিছু কম ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রথমবারের জন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেন বিধায়ক না হয়েই। পরে ভবানীপুর থেকে নির্বাচিত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন।
নির্বাচন কমিশন দিন ঘোষণা করতেই তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভবানীপুর থেকে ঘোষণা করা হয়। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, দল বললে নন্দীগ্রামের মতোই ভবানীপুর থেকে লড়াই করতে তিনি প্রস্তুত।
আদালতে যাওয়ার ভাবনা বিজেপির
যদিও বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই শুধু ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানো নিয়ে আদালতে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে। বাকি চারটি কেন্দ্রে কেন উপনির্বাচন হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বড় আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া