ভোটে জিততে হলে আরও বেশি সংখ্যক ব্রাহ্মণকে দলে টানতে হবে, সরাসরি বলেন মায়াবতী
আগামী বছরেই ভোট হবে উত্তরপ্রদেশে। তার আগে জনমত সমীক্ষায় সম্ভাব্য জয়ী হিসাবে ধরা হচ্ছে বিজেপিকে। মঙ্গলবার লখনউতে সভা করেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী (Mayabati)। তিনি সরাসরি বলেন, ২০২২ সালের ভোটে যদি জিততে হয়, তাহলে আরও বেশি সংখ্যক ব্রাহ্মণকে দলে আনতে হবে।
গত ২৩ জুলাই অযোধ্যায় শুরু হয় বিএসপি-র ‘প্রবুদ্ধ সম্মেলন’। এদিন ওই সম্মেলন হয় লখনউতে। সেখানেই বক্তব্য পেশ করেন মায়াবতী। তাঁর কথায়, ব্রাহ্মণরা স্বীকার করেছেন, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের তুলনায় বিএসপি সরকারের আমলে তাঁরা ভাল ছিলেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমি ব্রাহ্মণদের কথা দিচ্ছি, পরের ভোটে ক্ষমতায় এলে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। ২০০৭ সালের মতো এবারেও আমরা দলে বেশি সংখ্যক ব্রাহ্মণকে টানার চেষ্টা করব।’
আরো পড়ুন : হিন্দু-মুসলমানদের পূর্বপুরুষ এক, তাই দেশের প্রত্যেক নাগরিক হিন্দু, দাবি ভাগবতের
এর আগে মায়াবতীর জমানায় উত্তরপ্রদেশে অনেকগুলি পার্ক ও স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। তার কড়া সমালোচনা করেন বিরোধীরা। মায়াবতী এদিন বলেন, এবার ক্ষমতায় এলে তিনি কেবল উন্নয়নের ওপরে মনোযোগ দেবেন। পার্ক বা স্মারক সৌধ বানাবেন না। বহুজন সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরামের মৃত্যুদিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তিনি দলের কর্মীদের আহ্বান জানান। তাঁর কথায়, ‘আজ যাঁরা লখনউতে উপস্থিত হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি, আগামী ৯ অক্টোবর কাঁসিরাম স্মারক স্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ওইদিন কাঁসিরামের প্রয়াণ দিবস।
সকলে কোভিড বিধি মেনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন।’ একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ নেতা মোহন ভাগবতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, যদি হিন্দু ও মুসলমানদের পূর্বপুরুষ একই হয়, তাহলে তাঁরা মুসলিমদের সঙ্গে ভিন্ন ব্যবহার করেন কেন?’ গত অগাস্ট মাসে পেগাসাস বিতর্কের সময় মায়াবতী বলেন, তিনি একটি শর্তে বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেন। তা হল, তা হল, অন্যান্য পশ্চাত্পদ শ্রেণির জনগণনা করতে হবে।
আরো পড়ুন : কিশোরীকে স্টেশন থেকে অপরহরণ করে গণধর্ষণ! পুনেতে ধৃত দুই রেলকর্মী-সহ ৮
হিন্দিতে টুইট করে মায়াবতী বলেন, ‘বিএসপি চায়, দেশ জুড়ে ওবিসিদের জনগণনা করা হোক। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই লক্ষ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়, বিএসপি নিশ্চয় সংসদের ভিতরে ও বাইরে তাদের সমর্থন করবে,’ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও দাবি করেছেন, তাঁর রাজ্যে জাতপাতভিত্তিক জনগণনা করতে হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা করবে কিনা, তা তাদের ব্যাপার। আমাদের কাজ, নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি সরকারের সামনে পেশ করা। অনেকে ভাবছেন, জাতপাতের ভিত্তিতে গণনা হলে একটি জাতের সুবিধা হবে, অন্য জাতগুলির অসুবিধা হবে। এই ধারণা অমূলক। জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা হলে সকলেরই সুবিধা হবে।
সূত্র: দ্য ওয়াল