নদীয়া

বাংলায় এবার তালিবানি ফতোয়া! অনাত্মীয়ের সঙ্গে ট্রেন সফরের অপরাধে একঘরে মহিলার পরিবার

মলয় দে

বাংলায় এবার তালিবানি ফতোয়া! অনাত্মীয়ের সঙ্গে ট্রেন সফরের অপরাধে একঘরে মহিলার পরিবার - West Bengal News 24

শুধু আফগানিস্তান নাই নদীয়ার ভীমপুর থানার নেলুয়া গ্রামেও দেখা মিললো তালিবানি শাসন! স্রেফ ট্রেনে পাশের সিটে বসার অপরাধে এক ঘরে হতে হলো চল্লিশোর্ধ মহিলার পরিবারকে।

ঘটনাটি ঘটে নদীয়ার ভীমপুর থানার নেলুয়া গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা চল্লিশোর্ধ এক মহিলা, তার বড় মেয়ে মাথায় টিউমার নিরাময়ের জন্য মাসে দুবার কলকাতা নীলরতন মেডিকেল হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। এদিনও অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে বসে ছিলেন তিনি, পাশের সিট খালি থাকার কারণে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি বসে।

কম্পার্টমেন্টে থাকা ঐ গ্রামের অপর আর এক যুবক চুপিসারে তাদের পাশাপাশি বসা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে লিখে দেন প্রণয়ঘটিত কারণে ওই পুরুষ এবং নারী দুজনে পালিয়ে যাচ্ছেন। মুহুর্তের মধ্যে হুলুস্থূলুস পড়ে যায় গোটা গ্রামে।

আরও পড়ুন : ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস, ঘোষণা অধীরের

২৪ জন মাতব্বর এবং ২০০ জন গ্রামবাসী মিলে বসে সালিশি সভা। ওই সালিশি সভায় চল্লিশোর্ধ মহিলার পরিবার থেকে কেউ না যাওয়ার কারণে ক্ষোভ আরো বাড়ে। অবশেষে সকলের লিখিত স্বাক্ষর অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয় ওই পরিবার এখন থেকে এক ঘরে।

তাদের সঙ্গে কোনরুপ যোগাযোগ, বাড়িতে যাওয়া এমনকি সাংসারিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করলে ফাইন দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা । যদিও স্বামী ৪ সন্তান গোটা পরিবার পাশে দাঁড়িয়েছে ওই মহিলার।

ওই পরিবার শরণাপন্ন হয়েছেন কৃষ্ণনগর এসপির কাছে, ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বাঁচার আর্জি জানিয়েছেন। তার প্রশ্ন, যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করল তার কোনো দোষ হলো না, যিনি পাশে বসলেন তিনিও দোষী নয়! অথচ শুধুমাত্র মহিলা বলে আমার উপর নির্দয় হয়েছে গ্রামবাসী।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য