কলকাতা কাউন্সিলর ইলেকশনে লড়েছেন আবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন হয়তো জিততে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হেরেছেন। আমরা হারার বিরুদ্ধে হারার প্রার্থী দিয়েছি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন ১৯৮৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে চিনত? এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী। সেরকম ধীরে ধীরে প্রিয়াঙ্কা কেও সবাই চিনবে। প্রিয়াঙ্কা আমাদের পার্টির একজন লড়াকু নেত্রী লড়াইটা মাঠেই হবে। মমতা ব্যানার্জিকে ৪ মাস আগে ভারতীয় জনতা পার্টি হারিয়ে দিয়েছিল। ভবানীপুরের উপর তার ভরসা ছিল না বলেই তিনি নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। আবার ভবানীপুরে তিনি ফিরে এসেছেন।
ভবানীপুরের মানুষ চিন্তা ভাবনা করে মমতা ব্যানার্জিকে ভোট দেবেন। ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থীর সাথেই রয়েছে। মনিপুরের উপনির্বাচনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আর টিএমসি সব বুঝতে পেরে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই সমস্ত মন্ত্রিসভাকে লাগিয়ে দিয়েছে ভবানীপুরে। ইলেকশনের রেজাল্ট হবে সব সাধারণ মানুষের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন : যাত্রাপথেই ব্যবস্থা ভরপুর বিনোদনের, লোকাল ট্রেনের প্রতি কামরায় থাকবে টিভি
দিলীপ ঘোষ বলেন যেহেতু মমতা ব্যানার্জি একজন মহিলা মুখ তাই বিজেপিও চাইছিল তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মহিলা লড়ুক। যাতে সোজাসুজি লড়াইটা হয়। একজন মহিলার বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি তখন অনেক চিন্তা ভাবনা করে কথা বলতে হয়। যখন মুখ্যমন্ত্রী হেরে যান তখন মহিলা হয়ে যান তিনি। সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার জন্যই মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলে আজ পরিষ্কার জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা লড়াইয়ের প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সব দিক বিবেচনা করে তাকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে।
পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ স্টার ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে বাবুল সুপ্রিয়র নাম থাকায় তিনি বলেন সুপ্রিয় স্টার নয় সুপারস্টার। একজন এমপি যদি বলেন তিনি রাজনীতিতে নেই তাহলে হয়। সক্রিয় রাজনীতিতেই রয়েছেন তিনি। বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেকেই অনেক কিছু বলেছেন। আমাদেরই নেতা বাবুল সুপ্রিয়।
দিলীপ ঘোষ বলেন নন্দীগ্রামে জেতার ব্যাপারে যতটা আশাবাদী ছিলাম ভবানীপুরে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী আছে বিজেপি।
সূত্র: প্রথম কলকাতা