বাঁকুড়া

মেয়ের মৃত্যুর কথা জানতেন! বাড়িতে পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকলেন মা

মেয়ের মৃত্যুর কথা জানতেন! বাড়িতে পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকলেন মা - West Bengal News 24

রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতি ফিরল বাঁকুড়ায়। চার দিন ধরে ঘরের মধ্যেই বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ের দেহ আগলে রাখলেন বৃদ্ধা মা। দেহ পচে দুর্গন্ধ বেরোনোর পরে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পচাগলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার লালবাজারের কুচকুচিয়া এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত চারদিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই কৃষ্ণাদেবীর কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুন : রক্ষা পেল নবমের ছাত্রী! মালদায় অপহরণের ৪ দিন পর উদ্ধার খড়গপুর থেকে

এমনকী মৃতের মা ঊষা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। এই ঘটনার জেরে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর থেকেই ঊষার বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। তারপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে দেখতে পায়, ঘরের মধ্যে মেয়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে রয়েছেন ঊষা। এরপর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

তাঁর মেয়ে যে মারা গিয়েছেন, সেটা মানতে নারাজ ঊষা। মেয়ের মৃত্যুর খবর কাউকে না জানানোর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘মেয়ে সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁকে চিকিত্‍সকের কাছে নিয়ে গেলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।’ এই বিশ্বাসে তিনি কাউকে কোনও কিছু জানাননি। ওই বৃদ্ধার মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার হরিদ্বার থেকে বাঁকুড়ার লালবাজারে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। স্বামী-মেয়েকে নিয়েই সংসার ছিল ঊষার। বরাবরই কৃষ্ণা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য