কয়লা কান্ডে তদন্তে বাধা দিচ্ছে রাজ্যর পুলিশ! দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল ইডি
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ বাতিল করতে চেয়ে এ বার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ED)। কয়লা মামলার (Coal Scam) তদন্তে ইডির ‘অবাধ বিচরণ’ রুখতে একটি নোটিস জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সেই নোটিসের বিরুদ্ধে পাল্টা হাইকোর্টে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, সেই নোটিসে ইডি-র আধিকারিকদের সমন পাঠানো হয়েছিল। যে আধিকারিকরা দিল্লিতে বসে কয়লা মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসূত্র খুঁজছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই এই নোটিস জারি করে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়।
এই নোটিসকে বাতিল করতে চেয়ে আদালতে গিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রভাব খাটাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশও আর্থিক তছরুপের তদন্তে বাধা দিতে তাঁর নির্দেশে কাজ করছে। অভিযোগ করেছে ইডি।
আরও পড়ুন : টিকা নিয়ে দলবাজির অভিযোগ, টিকার দাবিতে অবরোধ শিলিগুড়িতে
আসলে গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক কয়লা মামলায় ইডি-র নজরে রয়েছেন। চলতি মাসেই প্রথমবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তারপরও তাঁকে বেশ কয়েকবার তলব করেছে ইডি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয়বার সাড়া দেননি অভিষেক।
এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিস জারি করে ইডি-র আধিকারিকদের হাজিরা দিতে বলা হয়ে। আসলে এই তলবের মাধ্যমে কোথাও গিয়ে পুলিশ তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। যে কারণে কলকাতা পুলিশের এই নোটিস খারিজ করার দাবি জানিয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে আদালতে।
কয়লা মামলায় অভিষেক ছাড়াও তাঁর স্ত্রী-কে চলতি মাসে দিল্লির দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু করোনার কারণ উল্লেখ করে তিনি চিঠি দিয়ে জানান, গিয়ে দেখা করতে পারবেন না। ইডি আধিকারিকরা যেন তাঁর বাসভবনে আসেন। তবে অভিষেক ইডি-র ডাকে হাজিরা দিয়েছিলেন। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও মঙ্গলবারই ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই হাজিরা তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে ইডি তদন্তের জাল যত ছড়াচ্ছে, গোটা মামলাও তত বেশি জটিল হয়ে উঠছে।
সূত্র: টিভি ৯