বিচিত্রতা

দরজা খুলে টয়লেটে যাচ্ছে গরু, করছে ফ্লাশ! (ভিডিও)

দরজা খুলে টয়লেটে যাচ্ছে গরু, করছে ফ্লাশ! (ভিডিও) - West Bengal News 24

মানবশিশুর চেয়ে গরু কোনো কিছু আগে রপ্ত করতে পারে বলে সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষকরা দাবি করেছেন, মানব শিশুকে কোনো অভ্যাস রপ্ত করাতে যতটা সময় প্রয়োজন তার চেয়ে আগে গরু এটি রপ্ত করতে পারে।

গবেষণা অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে দরজা খুলে টয়লেটে যায় গরুরা। ক্ষেতখামারে যেখানে সেখানে মূত্র ও মলত্যাগ করে না। কাজ হয়ে গেলে বাথরুম অপরিষ্কার হয় সেটা ভালোই বোঝে। তাই মূত্র ও মলত্যাগের পর টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য ‘ফ্লাশ’ টেনে দেয়ে তারা। তারপর দরজা খুলে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘কারেন্ট বায়োলজি’-তে। গবেষণাটি চালিয়েছে, জার্মানির ‘রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ফার্ম অ্যানিমাল বায়োলজি (এফবিএন)’ ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন : হঠাৎ স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ল প্রকাণ্ড কালো চিতা (ভিডিও)

চাষবাসের এলাকা বাড়ায় ক্ষেতখামারে গবাদি পশুদের ত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থ থেকে উত্তরোত্তর বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। পরোক্ষভাবে তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত বিষাক্ত অ্যামোনিয়ার মতো গ্রিনহাউস গ্যাস। আর তার ফলে বাড়ছে উষ্ণায়নের বিপদ। যা দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

গবেষকরা প্রথমত দেখিয়েছেন, মূত্র ও মলত্যাগ করার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নেয় গবাদি পশুরা। ব্যাপারটা এমন নয় যে অপেক্ষা করতে না পেরে তারা হঠাৎই মল, মূত্র ত্যাগ করে ফেলে সদ্যোজাত মানবশিশুর মতো।

দ্বিতীয়ত, গবেষকরা দেখিয়েছেন, বাথরুমে গিয়ে মল, মূত্র ত্যাগ করার অভ্যাসে রপ্ত করাতে চাইলে তারা সেটা খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে। সদ্যোজাত মানবশিশু, এমনকি, দু’এক বছরের শিশুদের চেয়েও বেশি তাড়াতাড়ি এই অভ্যাসে রপ্ত করানো যায় ক্ষেতখামারের গবাদি পশুদের।

তৃতীয়ত, গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারদাবারের উপহার পেলে মানবশিশুদের চেয়ে গবাদি পশুরা বেশি তাড়াতাড়ি এই অভ্যাসে রপ্ত হয়ে ওঠে। যা প্রমাণ করেছে মানবশিশুদের চেয়ে গবাদি পশুরা বেশি চালাক-চতুর।

আরও পড়ুন : ৬১ বছরের নারীর সঙ্গে ২৪ বছরের তরুণের বিয়ে

গত আগস্টে জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ক্ষেতখামারে গবাদি পশুর বর্জ্য পদার্থ থেকে কী ভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো যায় তার উপায় বের করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞানীদের।

অ্যামোনিয়া গ্যাস সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নয়। কিন্তু গবাদি পশুর মাটিতে মেশা মল-মূত্র থেকে তৈরি হওয়া অ্যামোনিয়াকে ব্যাক্টরিয়াসহ কয়েকটি অণুজীব বদলে দেয় নাইট্রাস অক্সাইডে। যা কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনের পর তৃতীয় বিপজ্জনক গ্রিনহাউস গ্যাস। চাষবাস থেকেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অ্যামোনিয়া গ্যাসের নির্গমন হয়। যার অর্ধেকের জন্যই দায়ী গবাদি পশুদের মল ও মূত্র।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও আনন্দবাজার পত্রিকা

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য