‘আইন জারি করে কিছুই বন্ধ হবে না’, গুটখা বিক্রি চলবেই, বলছেন শহরের বিক্রেতারা
আগেও গুটখা ও পানমশলা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শহরজুড়ে দেদার বিকোচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির গুটখা। এবারও তাই হবে বলে মত বিক্রেতাদের। ধর্মতলার এক বিক্রেতা বললেন, ‘কিচ্ছু হবে না। প্রতিবছরই এই নাটক দেখে অভ্যস্ত আমরা। গুটখা বিক্রি বন্ধ হবে না।’ আগামী ৭ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য গুটখা ও তামাকজাত পান মশলার উত্পাদন, মজুত, বিক্রি বা বণ্টন নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য দফতরের কমিশনার অফ ফুড সেফটি।
এক বছর আগে গুটখা ও তামাকজাত পান মশলা নিষিদ্ধ করা হয়। সেই মেয়াদ শেষের আগেই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয় মঙ্গলবার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গুটখা ও বিভিন্ন রকম পান মশলা যার মধ্যে নিকোটিন বা তামাকজাত উপাদান রয়েছে এবং যেগুলি মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, রাজ্যে সেগুলির বিক্রি আগামী এক বছর নিষিদ্ধ। এই সময়ের মধ্যে গুটখা ও পান মশলা উত্পাদন, মজুত, বণ্টন ও বিক্রি করা যাবে না।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখালেও ফেরানো হচ্ছে রোগী! সাত বেসরকারি হাসপাতালকে শো-কজ করল সরকার
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল রাজ্যে নিষিদ্ধ হয় গুটখা ও পান মশলা। এরপর থেকে বাড়তে থাকে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাই সার। মানছে কে? দোকানিদের বক্তব্য, ‘আমাদের কেউ বন্ধ করতে বলেনি। চাহিদা আছে বলেই তো বিক্রি করছি।’ টিপু সুলতান মসজিদের উল্টোদিকের ফুটপাথের পান-গুটখা বিক্রেতা স্বরূপ দত্ত বললেন, ‘কারখানা বন্ধ করে দিক সরকার। তাহলে মালই ঢুকবে না। তা নাহলে তো বিক্রি বন্ধ সম্ভব নয়। আমাদেরও তো রুজি রোজগারের ব্যাপার।’ শিন্টু দত্ত বললেন, ‘মদ বিক্রি বাড়ছে। তার বেলায় ক্ষতি নেই।
যত দোষ পান, গুটখার! আমরা কাউকে জোর করে বিক্রি করি না।’ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মূলত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, বিহার থেকেই এই পণ্যগুলি শহরে আসে। বড়বাজার চত্বর থেকে তা পৌঁছয় দোকানিদের কাছে। শহরের গুটখাসেবীদের সিংহভাগই অবাঙালি মানুষজন। সাবির আলম জর্দা পান খান। বললেন, ‘গুটখা বন্ধ হলে আমার কিছু যায় আসে না। আমি জর্দা পান খাই। পানে কোনও ক্ষতি নেই।
সুত্র : দ্য ওয়াল