বিধানসভা ভোট হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁকে তেমন ময়দানে দেখা যায়নি। জন বার্লার পরে পরে শুধু একবার জঙ্গলমহলকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলে খবরে আসার চেষ্টা করেছিলেন মাত্র। সেই তিনি রাজ্য বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ ফের মুখ খুললেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় যা নয় তাই বললেন।
বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি লিখেছেন তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতাকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের রাজনৈতিক মা’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন সৌমিত্র।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সৌমিত্র বলেন, ‘উনি হচ্ছেন সন্ত্রাসবাদীদের রাজনৈতিক মা। যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হল, তখন উনি বিরোধিতা করলেন। এনআরসি প্রসঙ্গেও ওঁর বিরোধিতা। উনি চান ভারত একটা ধর্মশালা হয়ে উঠুক। উনি রোহিঙ্গাদেরও সমর্থন করেন। কেউ কি চায় যে ভারত ধর্মশালা হয়ে উঠুক আর রোহিঙ্গারা এখানে এসে আমাদের দেশের সম্পদ লুঠ করে ভোগ করুক!’
আরও পড়ুন : আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, বন্যার ত্রাণ বণ্টনে দুর্নীতি, ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএফের এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে তার কারণ সীমান্তে যাত নজরদারি তীক্ষ্ণ হয়। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে এ দেশের মাটিতে ঢুকতে না পারে। উনি কি চান তা না হোক? নইলে আপত্তি করছেন কেন?’ এমনিতে সৌমিত্রর মুখে খুব একটা আগল নেই। এর আগেও তাঁর একাধিক মন্তব্যের জন্য বিজেপি-র মুখ পুড়েছে। তাঁর দাম্পত্য জীবন নিয়ে যে মেলোড্রামা হয়েছিল তা বাংলার রাজনীতিতে অমলিন হয়ে থাকার মতো।
সেই সৌমিত্র এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের মদত যোগানোর অভিযোগ তুললেন। এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ওঁর কথার মূল্য বিজেপির লোকেরাই দেয় না। সৌমিত্রর রুচিবোধ বলতে কিছু নেই। রাজনৈতিক কথা হলে জবাব দেওয়া যায়। কিন্তু এরকম নিম্নমানের কথার উত্তর দিতে গা ঘিনঘিন করে। এই জন্যই সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে ঢুকতে পারেন না!’
সুত্র : দ্য ওয়াল