চিংড়িঘাটায় একের পর এক দুর্ঘটনা কেন? মুখ্যমন্ত্রীর তোপে কলকাতা এবং বিধাননগর কমিশনারেট
বারবার দুর্ঘটনার মুখে চিংড়িহাটা। ফলে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেন মমতা ব্যানার্জী। আর সেই আলোচনার সময়ই কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিসকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘চিংড়িহাটায় রোজ দুর্ঘটনা হয় কেন? কলকাতা পুলিশ বলে ওটা আমার নয়। বিধাননগর পুলিশ বলে ওইটুকুটা আমার।
তোমাদের জন্য সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবেন কেন? আমি ডিজিকে বলেছি, সিপিকেও বলেছি। ওখানে পরপর বেশ কয়েকটা দুর্ঘটনা হয়েছে, যা হওয়ার নয়।’ এরপরই কড়া নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আর একটা দুর্ঘটনা যেন না হয়। মানুষের জীবন অনেক দামি।’
আরও পড়ুন : কী ভাবে হল চাকরি? জানে না কমিশনও! অবিলম্বে ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ আদালতের
মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার এবং কলকাতা পুলিশের জুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে। চিহ্নিত করেন দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা।
সম্প্রতি ভাইফোঁটার দিনেও এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা হয় চিংড়িহাটায়। সেই ভয়ানক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬ বছরের এক যুবকের। একটি ট্রাক ওই যুবকের বাইকে ধাক্কা মারে। অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন তিনি। হেলমেট পরে থাকলেও ট্রাকের ধাক্কায় হেলমেট খুলে যায়। আঘাত লাগে যুবকের মাথায়।
বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বল্র ঘোষণা করেন। এর আগেও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে চিংড়িহাটা মোড়ে। এক সাইকেল আরোহী সহ সাতজনকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া গতিতে আসা গাড়ি। তখন মারা যান একজন। একের পর এক দুর্ঘটনার খবর আসায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাই কড়া পদক্ষেপ নিলেন তিনি।
সূত্র : আজকাল