কমছে প্রজননের হার, স্থিতিশীল হচ্ছে ভারতের জনসংখ্যা!
অত্যধিক জনসংখ্যার চাপে ভুগছে ভারত। ১৩০ কোটির দেশ এখন চীনের পরেই পৃথিবীর সবথেকে জনবহুল দেশ। আশঙ্কা ছিল, এক সময় চীনকেও টপকে যাবে ভারত।
কিন্তু না, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। পৃথিবীর সবথেকে জনবহুল দেশের তকমা পেতে এখনও অনেকটা দেরি। এমনকী দেশের গড় প্রজনন এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা কমতেও পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট তুলে ধরেছে এই তথ্য। টোটাল ফার্টিলিটি রেট (টিএফআর) সোজা কথায় নারী প্রতি শিশু প্রসবের সংখ্যা ২০১৬ সালের ২.২ থেকে ২-এ এসে ঠেকেছে। কয়েক দশক ধরে পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সচেতনতার প্রচারের জেরেই এই ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামও!
রাষ্ট্রপুঞ্জের বিচারে যে সব দেশের টিএফআর প্রতি নারী পিছু ২.১-এর নীচে, সেখানে একটা প্রজন্মের প্রজননে ঘাটতি পড়ছে। ঘাটতির অর্থ ওই প্রজন্মের যা জনসংখ্যা তার সমান প্রজনন হচ্ছে না। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার এখন ২।
জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে টিএফআর ২.১ হলেও শহুরে এলাকায় তা ১.৬। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন সায়েন্সের ডিরেক্টর কেএস জেমস বলছেন, টিএফআর ২ হওয়া মানে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে ভারতের জনসংখ্যা স্থিতিশীল হতে চলেছে।
তাঁর কথায়, ‘এই সংখ্যার অর্থ একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মিলে দুই সন্তানের জন্ম দিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যতে এসে দাঁড়াবে। যে কোনও দেশই ২.১ টিএফআর লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায়। সেই হিসেবে ভারতের ২ টিএফআর মা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য বড় উন্নতি।’
এদিকে দেশের পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যার অনুপাতেরও উন্নতি হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি ১০০০ জনে ভারতে মহিলার সংখ্যা এখন ১০২০।
সুত্র: আজকাল