কথায় আছে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। তার মধ্যে সবথেকে বড় পুজো হল দুর্গাপুজো। আজ, শনিবার মহাষষ্ঠী। ঢাকের বাদ্যি, কাঁসরের ঘণ্টা, উলুর ধ্বনি, শঙ্খের আওয়াজে চারিদিন আনন্দে মুখরিত। সব গ্লানি দূরে সরিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছেন সবাই। শাস্ত্রমতে আজকের দিনেই দেবী দুর্গা সপরিবারে মর্তে আগমন করেন। দেবীর বোধনের দিন। কথিত আছে, দেবীপক্ষে ষষ্ঠীতে দুর্গাকে বোধন করে পুজো শুরু করেছিলেন রাম চন্দ্র। সেই থেকেই চলে আসছে ষষ্ঠীতে বোধনের রীতি।
পৌরাণিক কাহিনি মতে, মহাষষ্ঠীর দিনে মহামায়া লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক এই চার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আগমন করেন। এই দিন থেকেই শুরু পুজোর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান। প্রথমে দেবীর মুখ উন্মোচন করে ষষ্ঠীর পুজো করা হয়। তারপর বোধন। বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জাগ্রত করা। বোধনের পরই প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় বলে বিশ্বাস।
আরও পড়ুন :: ১০ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ মানিক ভট্টাচার্যের
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠীতে দেবীর ষষ্ঠী রূপ কাত্যায়নীর আরাধনা করা হয়। নবরাত্রিতে দেবীর নয় রূপের আরাধনা করা হয়। ষষ্ঠ দিনে কাত্যায়ণী রোগ, শোক, দুঃখ, কষ্ট ও ভয়কে দূর করার আশীর্বাদ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস। জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর করতে ও সংসার সুখে সমৃদ্ধশালী করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। সন্তানের মঙ্গলকামনায় এদিন মায়েরা দুর্গাষষ্ঠী পালন করেন। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবছর মহাষষ্ঠীর তিথি পড়েছে শনিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত।
এ’বছর বাংলাজুড়েই মহালয়ার পর থেকে মণ্ডপে শুরু হয়েছে জন জোয়ার। করোনার অতিমারীর ভয়াবহতা কাটিয়ে এবছর পুজোতে একটু স্বস্তি। অবশ্য পুজোতে বৃষ্টির ভ্রুকূটি রয়েছে। তাই এই কথা মাথায় রেখেই পঞ্চমীতে কলকাতায় চলে রাত জেগে ঠাকুর দেখা৷ ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকে যে জনস্রোত বইতে শুরু করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আনন্দ উৎসবের শুভেচ্ছা রইল ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪ -এর তরফে।